অধ্যায়-৩
# কোনো একটি গাড়ি নির্দিষ্ট বেগে সামনের দিকে চলছিল। গাড়িটির ভর600 kg। গাড়িটি চলার সময় এর ওপর বাতাসের বাধা ও ঘর্ষণজনিত মোট বল ছিল300 N এবং ত্বরণ ছিল1.9 m/sec2
প্রশ্ন: ক. ঘর্ষণ কী? ১
প্রশ্ন: খ. নিউটনের প্রথম সূত্র থেকে কীভাবে জড়তা ও বলের ধারণা পাওয়া যায়? ২
প্রশ্ন: গ. এ ত্বরণ সৃষ্টির জন্য ওই সময় প্রযুক্ত সম্মুখ বল কত ছিল? ৩
প্রশ্ন: ঘ. গাড়িটি কেন সমবেগপ্রাপ্ত হয়? যুক্তি সহকারে বিশ্লেষণ করো। ৪
উত্তর: ক. দুটি বস্তু পরস্পর সংস্পর্শে থাকলে তাদের স্পর্শ তলে গতির বিরুদ্ধে যে বাধার সৃষ্টি হয়, তাকে ঘর্ষণ বলে।
উত্তর: খ. নিউটনের প্রথম সূত্রে বলা হয়েছে, বল প্রয়োগ না করলে স্থির বস্তু চিরকাল স্থির ও গতিশীল বস্তু সমবেগে সরলপথে চলতে থাকবে। বস্তুর এই ধর্মকেই জড়তা বলে এবং যে কারণে এর গতীয় অবস্থা পরিবর্তন ঘটায়, সেটিই হচ্ছে বল। তাই প্রথম সূত্র থেকে জড়তা ও বলের সংজ্ঞা পাওয়া যায়।
উত্তর: গ. আমরা জানি,
লব্ধি বল F = ma
= 600 kg ´ 1.9 m/sec2
= 1140 N
সুতরাং, সম্মুখ বল, F র্= F + F র্ র্
= 1140 N + 300 N
= 1440 N
সম্মুখ বল, F র্= 1440 N (Ans.)
এখানে,
ভর, m = 600 kg
ত্বরণ, a = 1.9 m/sec2
লব্ধি বল, F = ?
সম্মুখ বল, F র্ = ?
ঘর্ষণ বল, F র্ র্ = 300 N
উত্তর: ঘ. গাড়িটি যখন সম্মুখ দিকে চলমান হয় তখন এর ওপর চারটি বল ক্রিয়া করে। সেগুলো হলো—
অভিকর্ষ বল, ভূমির প্রতিক্রিয়া বল, ইঞ্জিন কর্তৃক প্রযুক্ত সম্মুখ বল এবং ঘর্ষণ ও বায়ুর বাধাজনিত বল। এদের মধ্যে প্রথম দুটি বলের অভিমুখ পরস্পর বিপরিত দিকে, তাই এরা একে অপরকে প্রশমিত করে দেয়। গাড়িটি যখন চলা শুরু করে, তখন ঘর্ষণ ও বায়ুর বাধাজনিত বল কম থাকায় গাড়িটির একটি ত্বরণ সৃষ্টি হয়, কিন্তু বেগ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের বাধাজনিত বল বাড়তে থাকে। একসময় ঘর্ষণ বল ও বাতাসের বাধাজনিত বলের লব্ধি প্রযুক্ত বলের সমান হয়। ফলে, বলের লব্ধি শূন্য হয়। এর কারণে গাড়িটি সমবেগে চলতে থাকে।