প্রশ্ন: প্রাচীন নিদর্শনগুলো কারা আবিষ্কার করেন?
উত্তর: প্রত্নতাত্ত্বিকগন প্রাচীন ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো অনুসন্ধান এবং আবিষ্কার করেন। এরূপ বহু নিদর্শন বাংলাদেশের জাদুঘরগুলোতে সংরক্ষিত আছে।
প্রশ্ন: ঐতিহাসিক নিদর্শনসমূহ পরিদর্শনের কারণগুলো লেখো।
উত্তর: ঐতিহাসিক নিদর্শনসমূহ পরিদর্শনের কারণগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো:
১. ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো যেকোনো জাতির অতীত সভ্যতা ও সংস্কৃতির পরিচয় বহন করে।
২. ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের প্রসার ঘটাতে সাহায্য করে।
৩. দেশি ও বিদেশি পর্যটকেরা এসব স্থান ভ্রমণ করতে আসেন। ফলে এগুলো বিশ্বের মানুষের কাছে নিজের ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে সাহায্য করে।
৪. পর্যটনশিল্পের বিকাশ ঘটে এবং এ শিল্প থেকে সরকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে।
৫. শিক্ষার্থী ও গবেষকেরা এসব ঐতিহ্য থেকে জ্ঞান আহরণ করেন এবং গবেষকেরা তাঁদের গবেষণাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যান।
প্রশ্ন: ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো আমাদের সংরক্ষণ করা উচিত কেন?
উত্তর: বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য অত্যন্ত সমৃদ্ধ। দীর্ঘদিন থেকে এ দেশে বিভিন্ন জাতি ও ধর্মের মানুষ বসবাস করে আসছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে তাদের নিদর্শন। এসব নিদর্শন আমাদের সংরক্ষণ করা উচিত।
কারণ—
১. এসব নিদর্শন আমাদের অতীতের সভ্যতা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে সাহায্য করে।
২. আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে লালন করে। তাই আমরা গৌরববোধ করি এসব দেখে।
৩. পূর্বের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের ভবিষ্যৎকে আরও উন্নতির পথে পরিচালিত করতে পারি।
৪. বিশ্বের অন্যান্য দেশের কাছে আমাদের গৌরবময় ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে। তাই আমাদের উচিত আমাদের এসব ঐতিহাসিক নিদর্শন সংরক্ষণ করা।
প্রশ্ন: ময়নামতি কোথায় অবস্থিত? কোন ঐতিহাসিক স্থানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিদর্শন পাওয়া গেছে? চারটি বাক্যে এই নিদর্শনটি সম্পর্কে লেখো।
উত্তর: অষ্টম শতকের রাজা মানিক চন্দ্রের স্ত্রী ছিলেন ময়নামতি। ময়নামতি এলাকার নামটি তার নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে কুমিল্লা শহরের কাছে ময়নামতি অবস্থিত। ময়নামতিতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আবাসন সুবিধাসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রাচীন নিদর্শনও পাওয়া যায়।