অষ্টম শ্রেণি - বাংলা - সুখী মানুষ - প্রশ্নোত্তর
সুখী মানুষ - মমতাজউদদীন আহমদ - জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
৮। মমতাজউদদীন আহমদের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি নাটকের নাম লেখো।
উত্তর : স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা, রাজা অনুস্বারের পালা ও সাতঘাটের কানাকড়ি।
৯। হিমালয় পাহাড় তুলে আনব এ কথা কে বলেছিল?
উত্তর : রহমত বলেছিল হিমালয় পাহাড় তুলে আনব।
অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর
১। ‘মুরগির দাম নিয়েই ছাড়ব’—কে বলেছিল, কেন বলেছিল?
উত্তর : হাসু এ কথা বলেছিল। কারণ মোড়ল মানুষকে বড় জ্বালিয়েছে আর হাসুর মুরগি মোড়ল জোর করে জবাই করে খেয়েছে। তাই মোড়ল যখন অসুস্থ ছিল, হাসু বলেছিল আমার মুরগি জবাই করে খেয়েছে, আজ আমি মুরগির দাম নিয়েই ছাড়ব।
২। সুখী মানুষ নাটিকাটির শেষ সংলাপ কী? কেন লোকটি এ কথা বলেছিল?
উত্তর : শেষ সংলাপ ছিল ‘মিছে বলব কেন? আমার ঘরে কিছুই নাই। সে জন্য আমি সুখী মানুষ।’
রহমত ও হাসু যখন মোড়লের জন্য সুখী মানুষের জামা খুঁজছিল আর সুখী মানুষ হিসেবে একটি লোকের কাছে তার জামা চেয়েছিল, তখন লোকটি বলেছিল, ‘আমার কোনো জামা নেই।’ রহমত ও হাসু ভেবেছিল লোকটি মিথ্যা বলছে। তারপর লোকটি বলেছিল, ‘মিছে বলব কেন? আমার ঘরে কিছুই নেই। সে জন্য আমি সুখী মানুষ।’ মূলত এটি একটি রূপক কথা। কিছু নেই বলতে লোকটি বুঝিয়েছে তার কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কিছু নেই। আবার এ কথা দ্বারা এ-ও বোঝায় যে লোকটির চাওয়া-পাওয়া খুবই সীমিত এবং তার যা আছে তা দিয়েই সে চলার চেষ্টা করে। কোনো কিছু চেয়ে না পাওয়ার কষ্ট তার নেই। আর এ কারণে তার দুঃখও নেই। সুতরাং দুঃখ না থাকায় সে নিজেকে সুখী মনে করে।
৩। মোড়ল কেমন প্রকৃতির?
উত্তর : সুখী মানুষ নাটিকাটিতে মোড়ল এক অত্যাচারী চরিত্র। সে গ্রামের মানুষদের অনেক জ্বালিয়েছে। মানুষের গরু কেড়ে নেওয়া, ধান লুট করা, ক্ষমতা জাহির করা তার স্বভাব। এসব করে মোড়ল আজ ধনকুবের। একজন অত্যাচারী মানুষ।
৪। কে মোড়লের অকল্যাণ কামনা করে?
উত্তর : অকল্যাণ কামনা করে হাসু। মোড়ল অত্যাচারী। মানুষকে অনেক জ্বালিয়েছে। তাই হাসু মোড়লের কাজকর্ম সমর্থন করে না। মামাতো ভাই হওয়া সত্ত্বেও হাসু তার অকল্যাণ কামনা করে।
৫। কে পাগলের মতো হাসছিল?
উত্তর : যখন হাসু ও রহমত একজন সুখী মানুষের জামার সন্ধানে বেরিয়েছিল, বনের মধ্যে একটি ঘর দেখতে পেয়েছিল ওরা। ডাকতেই ঘর থেকে একজন লোক বেরিয়ে আসে। লোকটি নিজেকে সুখী বলে দাবি করে। লোকটি বলেছিল—‘সারা দিন বনে কাঠ কেটে বাজারে বিক্রি করে যা পাই তা দিয়ে চাল-ডাল কিনে মনের সুখে খেয়েদেয়ে আবার শুয়ে পড়ি।’ এক ঘুমেই তার রাত পার হয়ে যায়। তখন হাসু প্রশ্ন করেছিল, ‘তোমার ভয় করে না, যদি তোমার সোনাদানা, জামা-জুতা চুরি হয়?’ শুনে লোকটি পাগলের মতো হেসেছিল। কারণ তার জামা-জুতা কিছুই ছিল না। চোর নেবে কী!