ডিগ্রি ১ম বর্ষ: দর্শন ২য় পত্র নীতিবিদ্যা অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
১. পরানীতিবিদ্যা কী?
উত্তর: যে নীতিবিদ্যা আদর্শনিষ্ঠ নীতিবিদ্যায় ব্যবহৃত পদ, শব্দ, প্রত্যক্ষ এবং নৈতিক অবধারণসমূহের ধারণাগত ও যৌক্তিক বিশ্লেষণ করে তাকে পরানীতিবিদ্যা বলে।
২. পরিবেশ পরানীতিবিদ্যা কী?
উত্তর: পরিবেশ পরানীতিবিদ্যা হলো পরিবেশ ও নৈতিকতার একটি মিশ্র ও সমন্বিত পর্যালোচনা এবং স্ববিচার বিশ্লেষণ তাকে পরিবেশ পরানীতিবিদ্যা বলে।
৩. ব্যবহারিক নীতিবিদ্যা কী?
উত্তর: সমাজে বসবাসকারী মানুষের ব্যক্তিগত, পরিবেশগত, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অর্থাৎ জীবনপ্রণালি সম্পর্কিত সমস্যা এবং এসব সমস্যা সমাধানকল্পে নৈতিক নিয়মাবলি প্রয়োগের প্রক্রিয়াকে ব্যবহারিক নীতিবিদ্যা বলে।
৪. “ভালো একটি সরল, অপ্রাকৃতিক ও সংজ্ঞায়নাতীত গুণ।” উক্তিটি কার?
উত্তর: “ভালো একটি সরল, অপ্রাকৃতিক ও সংজ্ঞায়নাতীত গুণ।” উক্তিটি জি. ই. ম্যূরের।
৫. নীতিবিদ্যা সম্পর্কে উইলিয়াম লিলির সংজ্ঞা দাও।
উত্তর: উইলিয়াম লিলির মতে, “নীতিবিদ্যা হচ্ছে সমাজে বসবাসকারী মানুষের আচরণসম্পর্কীয় এমন আদর্শনিষ্ঠ বিজ্ঞান, যা এ আচরণকে ন্যায় বা অন্যায়, ভালো বা মন্দ বা অন্য কোনো একই ধরনের পন্থায় বিচার করে।”
৬. নীতিবিদ্যার প্রধান আলোচ্য বিষয় কী?
উত্তর: নীতিবিদ্যার প্রধান আলোচ্য বিষয় হলো মানুষের আচরণ।
৭. নীতিবিদ্যা কোন ধরনের বিজ্ঞান?
উত্তর: নীতিবিদ্যা আদর্শনিষ্ঠ ও ব্যবহারিক বিজ্ঞান
৮. শাস্তি কত প্রকার?
উত্তর: শাস্তি তিন প্রকার।
৯. অনৈচ্ছিক ক্রিয়া কী?
উত্তর: যেসব ক্রিয়া মানুষের নিয়ন্ত্রণ অর্থাৎ মানুষের ইচ্ছা ও বিচারবিবেচনাছাড়াই সংঘটিত হয় সেগুলোকে অনৈচ্ছিক ক্রিয়া বলে।
১০. ইচ্ছানিরপেক্ষ ক্রিয়া কাকে বলে?
উত্তর: যেসব ক্রিয়া মানুষের ইচ্ছা ও বিচারবিবেচনা ছাড়াই সংঘটিত হয় সেগুলোকে ইচ্ছানিরপেক্ষ ক্রিয়া বলে।
১১. উদ্দেশ্য কী?
উত্তর: উদ্দেশ্য হল চালিকাশক্তি যা মানুষকে কর্মে প্রবৃত্ত করে। অর্থাৎ উদ্দেশ্য হলো সেই অনূভূতি যা ব্যক্তির মধ্যে কর্ম করার সংকল্প সৃষ্টি করে।
১২. কামনা কাকে বলে?
উত্তর: সাধারণত কোনো অভাববোধ দূর করার জন্য কোনো লক্ষ বা কাম্যবস্তুকে পাওয়ার জন্য তীব্র আকাঙ্খা বা বাসনার মানসিক স্তরকে কামনা বলে।
১৩. নৈতিক অবধারণ কী?
উত্তর: নৈতিক অবধারণ নীতিবিদ্যার এমন একটি আলোচ্য বিষয় যা কল্যাণ বা শুভের ধারণা সম্পর্কিত সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে।
১৪. সুখবাদ কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর: সুখবাদ দুই প্রকার। যথা- ১. মনস্তাত্ত্বিক সুখবাদ ও ২. নৈতিক মুখবাদ।
১৫. নৈতিক সুখবাদ কী?
উত্তর: যে সুখবাদ অনুসারেসুখই মানুষের কাম্যবস্তু হওয়া উচিৎ তা নৈতিক সুখবাদ।
১৬. সুখবাতের হেঁয়ালি কাকে বলা যায়?
উত্তর: “আমরা যত সুখ কামনা করব, তত কম সুখ লাভ করব। সুখলাভের সর্বাপেক্ষা ভালো উপায় হলো সাময়িকভাবে সুখকে ভুলে থাকা।” এ মতবাদকেই বলা হয় সুখবাতের হেঁয়ালি।
১৭. দুইজন স্বজ্ঞাবাদী দার্শনিকের নাম লেখ।
উত্তর: দুইজন স্বজ্ঞাবাদী দার্শনিকের নাম হল- ১. বাটলার ও ২. প্রিচার্ড।
১৮. সূক্ষ্ম সুখ বলতে কী বুঝ?
উত্তর: সূক্ষ্ম সুখ বলতে মানসিক সুখকে বুঝায়।
১৯. উপযোগবাদের প্রবর্তক কে?
উত্তর: উপযোগবাদের প্রবর্তক বেন্থাম।
২০. দুইজন উপযোগবাদী দার্শনিকের নাম লেখ।
উত্তর: দুইজন উপযোগবাদী দার্শনিকের নাম হল- ১. জেরেমি বেন্থাম, ২. জন স্টুয়ার্ট মিল।
২১. নৈতিক বিচারের কর্তা কে?
উত্তর: নৈতিক বিচারের কত হলো বিবেক।
২২. নৈতিক বিচারের মাপকাঠি কী?
উত্তর: নৈতিক বিচারের মাপকাঠি হলো মানুষের বিবেক।
২৩. দুইজন পূর্ণতাবাদী দার্শনিকের নাম লেখ।
উত্তর: দুইজন পূর্ণতাবাদী দার্শনিকের নাম হলো- ১. প্লেটো ও ২. এরিস্টটল।
২৪. নিয়ন্ত্রণবাদ কী?
উত্তর: যে মতবাদ অনুসারে মানুষের ইচ্ছার কোনো স্বাধীনতা নেই এবং মানুষের ইচ্ছা বাইরের বিষয় বা ঘটনা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় তাকে নিয়ন্ত্রণবাদ বলে।
২৫. নৈতিক প্রগতি কী?
উত্তর: ব্যক্তির নিজের ও অপরের নৈতিক আদর্শের সার্থক রূপায়ণের মাধ্যমে দীরে ধীরে অগ্রসর হওয়ার যে প্রচেষ্টা তাই নৈতিক প্রগতি।
২৬. কর্তব্যের তিনটি স্বরূপ কী?
উত্তর: কর্তব্যের তিনটি স্বরূপ হলো- কর্তব্যবোধ নৈতিকতার সাথে সম্পর্কিত, ২. কর্তব্যের সদগুণের প্রকাষ দ্বারা ও ৩. কর্তব্য হলো বাধ্যতামূলক।
২৭. “কর্তব্যের জন্য কর্তব্য কর।”- উক্তিটি কার?
উত্তর: “কর্তব্যের জন্য কর্তব্য কর।”- উক্তিটি ইমানুয়েল কান্টের।
২৮. An Introduction to Ethice গ্রন্থটির লেখক কে?
উত্তর: An Introduction to Ethice গ্রন্থটির লেখক উইলিয়াম লিলি।
২৯. Principia Ethica গ্রন্থটির রচয়িতা কে?
উত্তর: Principia Ethica গ্রন্থটির রচয়িতা জি. ই. ম্যূর।
৩০. Die to Live এটা কার উক্তি?
উত্তর: Die to Live উক্তিটি হেগেলের।