২০২০ সালে বাংলাদেশ ৪৩ লাখ মেট্রিক টনের বেশি এলএনজি আমদানি করেছে বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। গ্যাসের চাহিদা বাড়ায় ২০১৯ সালের তুলনায় ২০৪০ সাল নাগাদ এলএনজি আমদানি ৫০ গুণ পর্যন্ত বাড়তে পারে। ২০৪০ সাল নাগাদ আমদানিকৃত এলএনজি থেকে বছরে ৩৯০-৯০০ মেট্রিক টন কার্বন ডাই–অক্সাইড নির্গমন হতে পারে; যা ১০০টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মোট নির্গমনের চেয়েও বেশি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘ন্যাশনাল প্ল্যান ফর রিডিউসিং শর্ট-লিভড ক্লাইমেট পপুলেশনস ইন ২০১৮’ অনুযায়ী, বাংলাদেশ মিথেন হ্রাস করতে নিজের ইচ্ছার কথা জানিয়েছিল। আবার, ২০২১ সালে ‘মেজর ইকোনমিস ফোরাম অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লাইমেট’-এ যুগান্তকারী মিথেন প্রতিশ্রুতিতে সমর্থন দিলেও এখনো তাতে অংশগ্রহণ করেনি বাংলাদেশ। সম্প্রতি সরকার এলএনজি–নির্ভরতা বৃদ্ধির যে পরিকল্পনা গ্রহণ করছে, তা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতির সঙ্গে বেমানান। মিথেনের একটি প্রধান উৎস এলএনজি। আগামী ২০ বছরের মধ্যে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিতে মিথেন গ্যাসটি কার্বন ডাই–অক্সাইডের তুলনায় ৮৪ গুণ বেশি ভূমিকা রাখতে পারে।
প্রতিবেদনটি মূল্যায়ন করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্লেষণ থেকে এটা স্পষ্ট যে গ্যাস—প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজি, যে আকারেই হোক, এটি অর্থনীতির পাশাপাশি পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের ওপর বহুমাত্রিক বিরূপ প্রভাব ফেলবেই। গ্যাস ও এলএনজিকে জ্বালানির ‘বিশুদ্ধতর’ বা ‘আপৎকালীন’ ধরন হিসেবে চিত্রিত করা হলেও এ বিষয়ে আসল সত্যটা বলা হয় না।