মাত্র ৫ (পাঁচ) টি ধাপে নতুন নিয়মে করুন ই-পাসপোর্ট আবেদন।

〄 ই-পাসপোর্ট আবেদনের জন্য ৫টি সহজ ধাপ রয়েছে। ধাপগুলো হলো:
⫸ ধাপ-১ : আপনার বর্তমানে বসবাসরত জেলাতে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম শুরু হয়েছে কি না তা জেনে নিন। বর্তমানে নিম্নলিখিত পাসপোর্ট অফিসগুলিতে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু আছে।
১। আগারগাওঁ
২। যাত্রাবাড়ি
৩। উত্তরা
৪। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট
৫। বাংলাদেশ সচিবালয়
৬। গাজীপুর
৭। মনছুরাবাদ
৮। ময়মনসিংহ
৯। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
১০। গাইবান্ধা
১১। গোপালগঞ্জ
১২। মানিকগঞ্জ
১৩। নরসিংদী
১৪।নোয়াখালী
১৫। ফেনী
১৬। চাঁদগাওঁ
১৭। কুমিল্লা
১৮। মুন্সিগঞ্জ
১৯। সিলেট
২০। মৌল্ভিবাজার
২১। সুনামগঞ্জ
২২। হবিগঞ্জ
২৩। যশোর
২৪। খুলনা
২৫। কুষ্টিয়া
২৬। বি-বাড়িয়া
২৭। রাজশাহী
২৮। চাপাইনবাবগঞ্জ
২৯। বগুড়া
৩০। রংপুর
৩১। দিনাজপুর
৩২। নওগাঁ
৩৩। জয়পুরহাট
৩৪। বরিশাল
৩৫। পটুয়াখালি
৩৬। পাবনা
৩৭। সিরাজগঞ্জ
৩৮। কিশোরগঞ্জ
৩৯। নাটোর
৪০। মাগুরা
৪১। নড়াইল
৪২। লক্ষ্মীপূর
৪৩। টাঙ্গাইল
৪৪। জামালপুর
৪৫। শেরপুর
৪৬। নেত্রকোনা
৪৭। মাদারীপুর
৪৮। ফরিদপুর
৪৯। রাজবাড়ি
৫০। ঝিনাইদহ
৫১। সাতক্ষীরা
৫২। বাগেরহাট
৫৩। ভোলা
৫৪। বরগুনা
৫৫। চুয়াডাঙ্গা
৫৬। ঝালকাঠি
৫৭। কুড়িগ্রাম
৫৮। লালমনিরহাট
৫৯। মেহেরপুর
৬০। নীলফামারী
৬১। পঞ্চগড়
৬২। পিরোজপুর
৬৩। শরিয়তপুর
৬৪। ঠাকুরগাঁও
৬৫। বান্দরবান
৬৬। চাঁদপুর
৬৭। কক্সবাজার
৬৮। খাগড়াছড়ি
৬৯। নারায়নগঞ্জ
৭০। রাঙামাটি
⫸ ধাপ-২ : অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ করুন। ই-পাসপোর্ট আবেদন দুইটি প্রক্রিয়ায় সম্পাদন করা যায় । আবেদন ফরম পূরণের নির্দেশাবলী জানতে এখানে ক্লিক করুন।
১। অনলাইন আবেদন : আবেদন প্রক্রিয়ার জন্য ক্লিক করুন এখানে ক্লিক করুন । অনলাইন পেমেন্ট অপশন নির্বাচন করুন (পেমেন্ট সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হয়েছে), এতে আপনার সময় সাশ্রয় হবে।
২। অফলাইন আবেদন : ই-পাসপোর্টের পিডিএফ (অফলাইন আবেদন বর্তমানে চালু নেই। খুব শিগ্রই চালু হতে পারে) আবেদন ফরম ডাউনলোড করার পর কম্পিউটারে সরাসরি পূরণ করতে পারেন। পিডিএফ এডিটরের সহায়তায় ফরম পূরণ করে প্রিন্ট করুণ। পূরণকৃত ফরম প্রিন্ট করে প্রয়োজনীয় দলিলাদিসহ (যেমন : জাতীয় পরিচয় পত্র, পুরাতন পাসপোর্ট [যদি থাকে], প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অন্যান্য প্রমাণক) পাসপোর্ট অফিস বা দূতাবাসে যোগাযোগ করুন । তবে নিশ্চিত হউন আপনার সংশ্লিষ্ট অফিস/দূতাবাসে ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম শুরু হয়েছে কি না ?
Note- মনে রাখুন : আবেদন অবশ্যই কম্পিউটারে পূরণ করতে হবে। হাতে লেখা কোন আবেদন গৃহীত হবে না।
⫸ ধাপ-৩ : পাসপোর্ট ফি পরিশোধ । তালিকাভুক্তির জন্য পাসপোর্টের নির্ধারিত ফি পরিশোধ করুন । আপনি যখন অনলাইন আবেদন করবেন তখন ফি পরিশোধের জন্য অনেক বিকল্প পাবেন (যেমন : ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ ও অন্যান্য) এছাড়া নির্ধারিত ব্যাংকে ফি পরিশোধ এর সুযোগ রয়েছে । যখন ব্যাংক ফি পরিশোধ করবেন তখন পাসপোর্ট আবেদনপত্র সাথে রাখা রাখবেন। পাসপোর্ট ফি ও ব্যাংক পেমেন্ট এর জন্য ক্লিক করুন এখানে ক্লিক করুন।
⫸ ধাপ-৪ : ছবি ও ফিঙ্গার প্রিন্টের জন্য পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ । ছবি ও ফিঙ্গার প্রিন্টের জন্য পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার আগে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে নিয়েছেন কি না নিশ্চিত হোন। কমপক্ষে প্রিন্টেড আবেদন, পেমেন্ট স্লিপ, জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম সনদ, সর্বশেষ পুরোনা পাসপোর্ট (যদি থাকে) এবং অন্যান্য কাগজপত্র (যেটি আপনি সহায়ক মনে করেন) সঙ্গে রাখুন।এছারাও পাসপোর্ট অফিসে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময় যে সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যেতে হবে:
✔ আবেদনপত্রের সারংশের প্রিন্ট কপি (অ্যাপয়েন্টমেন্ট সহ)
✔ সনাক্তকরণ নথির প্রিন্ট কপি (জাতীয় পরিচয় পত্র/ জন্ম নিবন্ধন নং)
✔ পেমেন্ট স্লিপ
✔ পূর্ববর্তী পাসপোর্ট এবং ডাটা পেজের প্রিন্ট কপি (যদি থাকে)
✔ সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে GO/NOC (যদি থাকে)
✔ তথ্য সংশোধনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র(যদি থাকে)
✔ আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপি
⫸ ধাপ-৫ : পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট সংগ্রহ ।
✔ ডেলিভারী স্লিপ/রশিদ: এনরোলমেন্ট সম্পন্ন হওয়ার পর প্রদেয় স্লিপ ।
✔ অনুমোদিত প্রতিনিধির(নিজ জাতীয় পরিচয়পত্র সাথে আনতে হবে) কাছে পাসপোর্ট প্রদান করা যাবে।
_________________________________________
তথ্য সুত্রঃ বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট পোর্টাল