বাংলাদেশ থেকে কিভাবে মালয়েশিয়া যাবেন?
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া ভ্রমণ করার জন্য প্রথমত আপনি ভিসা করে নিন। ভিসা ফি ৩০০০-৩২০০ টাকার মধ্যে হয়ে যাবে।
অন্যান্য দেশ ভ্রমণে ভিসা করতে যা যা লাগে সেগুলোই প্রয়োজন হবে।এরপর আপনি মালয়েশিয়ার টিকেট কেটে ফেলবেন।১৮-২০ হাজার টাকার মধ্যে টিকেট হয়ে যাবে।
এয়ার করে বাংলাদেশ থেকে সরাসরি চলে যেতে পারবেন মালয়েশিয়া এয়ার পোর্ট।অনেক বড় আকৃতির এয়ারপোর্ট এটি।
যা যা খেয়াল রাখবেন: বাই এয়ারে মালয়েশিয়া ভ্রমণ করার জন্য প্রথমত আগে থেকে সব জরুরি কাগজপত্র এবং পাসপোর্ট অবশ্যই নিজের হাতের মধ্যে রাখবেন।
বিমান ছাড়ার কমপক্ষে ২ ঘণ্টা আগে এয়ারপোর্ট উপস্থিত থাকবেন।ইমিগ্রেশন এর ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু সহজ প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে পারে আপনি সেগুলোর সঠিক উত্তর দিবেন।
এরপর আর কি, সোজা এয়ারে করে চলে যাবেন মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে।
ভিসা সম্পর্কীত তথ্য
এশিয়ার একটি জনপ্রিয় দেশ মালয়েশিয়া।বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া ভ্রমণে ভিসা করতে কি কি লাগবে সেটি সম্পর্কে জানবো এখন।
*Malaysia Visa Requirements:
১.Passport:মালয়েশিয়া ভিসা করতে হলে আপনার অবশ্যই একটি পাসপোর্ট এর দরকার হবে এবং সেই পাসপোর্ট এর মেয়াদ অবশ্যই ৬ মাসের বেশি হতে হবে।
২.picture:অবশ্যই ২ কপি ছবির প্রয়োজন হবে। 35×50mm size colour picture with White background (no cap or no sunglasses) ।
অবশ্যই এই সাইজ এর ছবি আপনার লাগবে এবং ছবিতে কোনো ধরনের মাথায় টুপি বা চোখে সানগ্লাস/চশমা থাকবে না।
৩.bank statement last 6 month: ব্যাংক স্টেটমেন্ট আপনি আপনার ব্যাংক একাউন্ট থেকে উত্তোলন করবেন।আপনি অ্যাকাউন্ট এর ব্যালান্স ১ লাখ টাকার বেশি থাকলে সবথেকে বেশি ভালো হবে।
৪.Leave letter: আপনি যদি চাকরি জীবনে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার অফিস থেকে একটি ছুটির কাগজ এবং আপনি যদি ছাত্র হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার স্টুডেন্ট আইডি কার্ড এর কপি দিতে হবে।
আর যদি আপনি একজন ব্যাবসায়ী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে ট্রেড লাইসেন্স এর একটি notarized কপি দিতে হবে।
৫.Company empty pad & visiting card: আপনি যে কোম্পানিতে চাকরিজীবী অবস্থায় রয়েছেন অথবা যে ব্যাবসায় রয়েছে সেই ব্যাবসায় প্রতিষ্ঠানের pad এর একটি কপি দিতে হবে এবং সাথে অবশ্যই আপনার visiting card এর কপি দিতে হবে।
৬.if child then birth certificate & student id card copy: যদি আপনি বাচ্চা হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই birth certificate কপি আর যদি ছাত্র হয়ে থাকেন তাহলে স্টুডেন্ট আইডি কার্ড এর কপি দিতে হবে।
৭.Hotel booking copy:মালয়েশিয়াতে আপনি যে হোটেলটি আগে থেকে বুক করে রাখবেন তার একটি বুকিং কপি জমা দিতে হবে আপনাকে।
৮. Return Air tickets booking copy: মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশ আসার এয়ার টিকেট এর একটি কপি আপনাকে জমা দিতে হবে।
এই কাগজপত্র গুলো জমা দিলেই আপনার ভিসা কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।
*মোবাইল সিম সম্পর্কিত তথ্য
বাংলাদেশ থেকে এয়ারে করে মালয়েশিয়া যাওয়ার পর এয়ারপোর্ট নামলে আপনি লক্ষ করবেন সেখানে অনেকে জিজ্ঞেস করবে আপনাকে সিম কার্ড লাগবে কিনা।
সেখান থেকে আপনি যেকোনো সিম নিয়ে নিতে পারবেন পাশাপাশি এক মাস মেয়াদের আনলিমিটেড ডেটা এবং কল রেট নিয়ে নিতে পারবেন অত্যন্ত কম টাকার বিনিময়ে।
অবাক করার মতো বিষয় আপনি এখানে অনেক বাঙালি পেয়ে যাবেন যারা বাংলায় কথা বলবে আপনার সাথে।