সংখ্যা পদ্ধতি কি কি?

সংখ্যা পদ্ধতি কি
যে শব্দ বা চিহ্ন কোনকিছু গণনা করতে বা পরিমাণ কে বোঝাতে ব্যবহৃত হয় তাকে সংখ্যা বলে। কোন সংখ্যাকে প্রকাশ করার জন্য যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় তাকে সংখ্যা পদ্ধতি বলা হয়। যে পদ্ধতির মাধ্যমে সংখ্যা প্রকাশ ও গণনা করা হয় তাকে সংখ্যা পদ্ধতি বলে। সংখ্যা প্রকাশ করার জন্য বিভিন্ন অংক ব্যবহার করা হয়ে থাকে এবং প্রতিটি সংখ্যা পদ্ধতির জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণের অংক ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
নন-পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি কাকে বলে?
যে সংখ্যা পদ্ধতিতে কোন সংখ্যায় ব্যবহৃত চিহ্ন বা অংক সমূহ কোন স্থানীয় মান বা অবস্থানের উপর নির্ভর করে না তাকে নন পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি বলে। সংখ্যার মধ্যে ব্যবহৃত অংকগুলো কোন অবস্থানে আছে তার কোনো প্রভাব নেই। সংখ্যায় ব্যবহৃত অংক যেখানেই থাকুক না কেন এদের নিজস্ব মান দিয়ে সংখ্যাটির মান নির্ধারণ করা হয়। প্রাচীন হায়ারোগ্লিফিক্স একটি নন-পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি।
পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি কাকে বলে?
যে সংখ্যা পদ্ধতি প্রকাশ করার জন্য সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত মৌলিক চিহ্ন, বেজ বা ভিত্তি এবং এর অবস্থান বা স্থানীয়মান থাকতে হয় তাকে পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি বলে। যেমন, বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিতে 0, 1 এ দুটি মৌলের চিহ্ন ব্যবহৃত হয় এবং এর বেজ হচ্ছে দুই।
কোন সংখ্যা পদ্ধতির বেজ কত?
বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির বেজ ২, অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতির বেজ ৮, ডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতির বেজ ১০ এবং হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতির বেজ ১৬
সংখ্যা পদ্ধতির প্রকারভেদ-
বর্তমানে কিছুসংখ্যক সংখ্যা পদ্ধতিকে বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই সংখ্যা পদ্ধতিগুলো এ জন্য ব্যবহার করা হয় কারণ এগুলো সব থেকে বেশি নির্ভরযোগ্য। এগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করাটা অনেক সহজ হয়। নিম্নে বর্তমানে ব্যবহার করা সবথেকে নির্ভরযোগ্য চারটি সংখ্যা পদ্ধতি দেওয়া হল:
> দশমিক বা ডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি
> বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি
> অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি
> হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি
নিম্নে এই সংখ্যা পদ্ধতি গুলোর ব্যবহার এবং কিভাবে কাজ করে তার বিষয়ে আলোচনা করা হলো।
দশমিক বা ডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি
ডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি ১০ টি অঙ্ক বা প্রতীক নিয়ে গঠিত। এই 10টি অঙ্ক/প্রতীক হল 0,1,2,3,4,5,6,7,8 এবং 9। এই চিহ্নগুলি ব্যবহার করে আমরা যেকোনো পরিমাণ বা মানের সংখ্যা প্রকাশ করতে পারি। দশমিক সিস্টেমকে ১০ ভিত্তিক (Base -10) সিস্টেমও বলা হয়। এর কারণ এতে ১০টি সংখ্যা রয়েছে। আমরা সাধারণত সাধারণ গণনার জন্য এই সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করি। যেমন: "৯০ টি মারবেল" বাক্যে ৯০ একটি দশমিক বা ডেসিমেল সংখ্যা।
বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি
বাইনারি পদ্ধতিতে মাত্র দুটি চিহ্ন বা অঙ্ক ব্যবহার করা হয়। বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিতে, আমরা শুধুমাত্র 0 এবং 1 ব্যবহার করি এই কারণে, বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি হল 2। এই বেস -2 সিস্টেমটি দশমিক বা অন্যান্য সংখ্যা পদ্ধতিতে উপস্থাপন করা যেতে পারে এমন যেকোনো পরিমাণকে উপস্থাপন করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। ডিজিটাল সিস্টেম ডিজাইনে বাইনারি নম্বর সিস্টেমের ব্যবহার বিশাল। কম্পিউটারগুলি বিভিন্ন যুক্তি প্রয়োগ এবং কার্যকর করতে এই নম্বর সিস্টেম ব্যবহার করে।
অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি
অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতিতে, আটটি চিহ্ন বা অঙ্ক ব্যবহার করা হয় তাই, ভিত্তি ৮। এর অর্থ হল অক্টাল সিস্টেমে আটটি সম্ভাব্য সংখ্যা রয়েছে যা 0, 1, 2, 3, 4, 5, 6, 7। অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতিতে 0 থেকে 7 পর্যন্ত যেকোনো অঙ্ক থাকতে পারে।
হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি
হেক্সাডেসিমেল একটি 16 ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি। এতে 16টি সম্ভাব্য সংখ্যা বা চিহ্ন রয়েছে। এটি 0-9 সংখ্যা এবং A, B, C, D, E, F অক্ষর ব্যবহার করে। এখানে 10 কে A হিসাবে, 11 কে B হিসাবে, 12 কে C হিসাবে, 13 কে D হিসাবে, 14 কে E হিসাবে এবং 15 কে F হিসাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি হেক্সাডেসিমেল ডিজিট চারটি বাইনারি ডিজিটের একটি গ্রুপকে প্রতিনিধিত্ব করে।
1. দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি কত?
উত্তর: দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি হল 10 কারণ এই সংখ্যা পদ্ধতিতে 0,1,2,3,4,5,6,7,8 এবং 9 মোট 10টি সংখ্যা ব্যবহার করা হয়।
2. বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি কত?
উত্তর: বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি হল 2 কারণ এই সংখ্যা পদ্ধতিতে 0 এবং 1 মোট 2টি সংখ্যা ব্যবহার করা হয়।
3. অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি কত?
উত্তর: অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি হল 8 কারণ এই সংখ্যা পদ্ধতিতে 0,1,2,3,4,5,6,7 মোট 8টি সংখ্যা ব্যবহৃত হয়।
4. হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি কত?
উত্তর: হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি হল 16 কারণ এই সংখ্যা পদ্ধতিতে 0-9 এবং A, B, C, D, E, F অক্ষর মোট 16টি সংখ্যা বা চিহ্ন ব্যবহার করা হয়েছে।