এইসব অংশের উত্তরে সর্বোচ্চ (১+৫+১২+১৬) ৩৪ বাক্য
সুপ্রিয়, পরীক্ষার্থী বন্ধুরা কিভাবে সৃজনশীল প্রশ্নে বেশি নম্বর পাওয়া যায়? তোমরা কি তা সঠিকভাবে জান? তোমাদের সুবিধার্থে আমি আমার লেখায় তা তুলে ধরার চেষ্টা করব। পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে আমরা পরীক্ষকরা যে বিষয়কে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি তা হলো :
১) খাতার সৌন্দর্য রক্ষা
২) বানানের প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ
৩) বাক্যগঠনে তত্ত্বভিত্তিক তথ্য উপাস্থাপন
৪) অপ্রয়োজনীয় শব্দ বা ভাষা বর্জন
৫) কাটাকাটি যতদূর সম্ভব না করা
৬) অপ্রাসঙ্গিক বিষয় উপাস্থাপন থেকে বিরত থাকা
৭) প্রশ্নোত্তরে স্বচ্ছতা থাকা বাঞ্চনীয়
৮) প্রয়োজনীয় মার্জিন বা মার্জিনের জায়গা রাখা বাঞ্চনীয়
৯) সৃজনশীলের ক্ষেত্রে উদ্দীপক ও পাঠ্য বইয়ের সমন্বয় সাধন
১০) একই কথা বারবার না লেখা
১১) বহুনির্বাচনির ক্ষেত্রে প্রশ্ন অনুযায়ী ভেবে ভেবে উত্তর করা
১২) সর্বোপরি নির্ভেজাল তথ্যসমেত গঠনমূলক বিশ্লেষণ পরীক্ষার্থীদৈর আত্মবিশ্বাসে লেখলেই ভালো ফলাফল করা যাবে।
এখন, আমরা সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনিতে ভালো করার কিছু কৌশল জানবো :
সৃজনশীল অংশ-
সৃজনশীল অংশে প্রশ্ন থাকবে ১১টি উত্তর দিতে হবে ৭টি মোট নম্বর ৭০। সময়: ২ ঘন্টা ৩০ মিনিট।
একটি সৃজনশীল প্রশ্নের ৪টি অংশ থাকে। যথা:
ক) জ্ঞানমূলক অংশ
খ) অনুধাবনমূলক অংশ
গ) প্রয়োগমূলক অংশ
ঘ) উচ্চতর দক্ষতামূলক অংশ
এইসব অংশের উত্তরে সর্বোচ্চ (১+৫+১২+১৬) ৩৪ বাক্য এবং সর্বনিম্ন (১+৪+১০+১২) ২৭ বাক্য উত্তরের ক্ষেত্রে হতে পারে।
ক. জ্ঞানমূক অংশ : প্রদত্ত নাম্বার-১ [পাঠ্য বই হতে এক কথায় বা এক বাক্যে সঠিক উত্তর দিবে; এখানে কোনো বিষয়ভিত্তিক বিশ্লেষণের দরকার নেই]
খ. অনুধাবনমূলক : প্রদত্ত নাম্বার-২ (১+১) [অংশ দুটি : জ্ঞানমূলকে-১ চিন্তন বিশ্লেষণে-১। [প্রশ্নে যা চাইবে এক কথায় উত্তরের আসলবস্তু জ্ঞান আকারে লেখতে হবে আর দ্বিতীয় প্যারাতে বিশ্লেষণ করে সেটা সর্বোচ্চ ৩-৪ লাইন হলে ভালো হয়। মনে রাখা প্রয়োজন অনুধাবনমূলক প্রশ্নে উত্তরের ক্ষেত্রে সব মিলে সর্বনিম্ন ৪ এবং সর্বোচ্চ ৫ বাক্যে শেষ করতে হবে।]
গ. প্রয়োগমূলক অংশ : প্রদত্ত নাম্বার-৩ (১+১+১) [এখানে পরীক্ষার্থীদের তিনটি অংশ বা প্যারা করে লিখতে হবে। অংশগুলো হলো : প্রথমত, উত্তরের শুরুতেই মূল উত্তরটুকু অর্থাত জ্ঞানমূলক আকারে ১ বাক্যে উত্তর লিখতে হবে। দ্বিতীয়ত, প্রশ্নে চাওয়া বিষয়ের সাথে মূল পাঠ্যের সম্পর্ক নিরূপণের প্রয়াস পেতে হবে; যাকে ব্যাখ্যায় অংশ বলা যেতে পারে। তৃতীয়ত, অবশ্যই সম্পর্ক নিরূপণের ক্ষেত্রে প্রকৃত সমস্যার সমাধান করতে হবে। যা উদ্দীপক এবং মূলপাঠ্যকে একটি নিবিড় সম্পর্কের জালে ফেলবে। এটি হলো অর্জিত জ্ঞান এবং অনুধাবন নতুন ক্ষেত্রে প্রয়োগ করার ক্ষমতা। ১ম প্যারা ১বাক্য; ২য় প্যারা-২/৩বাক্য আর তৃতীয় ৬/৮বাক্য হতে পারে। এখানে সর্বোচ্চ ১২ বাক্য লিখতে পারবে।
ঘ. উচ্চতর দক্ষতামূলক : প্রদত্ত নাম্বার-৪ (১+১+১+১) [এখানে তোমাকে চারটি অংশ বা প্যারা করে লিখতে হবে। অংশগুলো হলো : প্রথমত, উত্তরের শুরুতেই মূল উত্তরটুকু অর্থাত্ জ্ঞানমূলক আকারে ১বাক্যে উত্তর লেখার চেষ্টা করতে হবে। দ্বিতীয়ত, প্রশ্নমোতাবেক উদ্দীপক ধরে চিন্তন শক্তি ব্যাখ্যা করতে হবে। তৃতীয়ত, প্যারাতে উদ্দীপক ও মূল পাঠ্যের সম্পর্কগত আলোচনা করতে হবে। চতুর্থত, সার্বিক বিশ্লেষণ করতে হবে সেক্ষেত্রে উদ্দীপক, মূলপাঠ্য বিষয় ও পারিপার্শ্বিক জীবন ব্যবস্থার সাথে মিল রেখে পরীক্ষার্থীর অনুভূতি প্রকাশ করতে পারবে। ১ম প্যারা ১বাক্য; ২য় প্যারা-২/৩ বাক্য আর তৃতীয় প্যারা-৩/৪ বাক্য ৪র্থ প্যারা-৬/৮বাক্য হতে পারে। এখানে সর্বোচ্চ ১৫ বাক্য লিখতে পারবে।
একটি সৃজনশীল প্রশ্ন কত মিনিটে লিখবো?
আমরা এখনো অনেকেই জানিনা যে সৃজনশীল কিভাবে লিখলে ভাল মার্কস পাওয়া পসিবল। তাই আমি মনে করি সৃজনশীল লিখার মেথডটা আমাদের জানা উচিত। দেখা যায় ৭ টা সৃজনশীল আসার পর আমরা অনেকেই সবগুলো প্রশ্নের উত্তরও করতে পারিনা এর একমাত্র কারন হচ্ছে নিয়মের বাহিরে যেয়ে লিখা।যার কারনে দেখা যায় প্রথমে অনেক বড় বড় করে লিখে লাস্টে এসে টাইম থাকেনা। এজন্য প্রথমেই আমাদেরকে আগে টাইম ম্যানেজমেন্ট করে নিতে হবে।
আমরা প্রতিটা প্রশ্নের জন্য ১৯ মিনিট করে নিবো- যেমন আমি এভাবে লিখতাম:
(ক+খ) ৫ মিনিটে লিখা শেষ করতাম।
(গ) ৬ মিনিট এবং (ঘ) ৮ মিনিটে লিখতাম।
এই টাইমে লিখতে পারলে পরে খাতা চেক করার জন্য আরো ৭/৮ মিনিট পাবে।
একটি সৃজনশীল প্রশ্ন কত কত পৃষ্টা বা কত লাইন লিখবো?
লিখার দৈর্ঘ্যটা হবে ক+খ এর জন্য প্রথম পেজ অর্থাৎ এক পৃষ্ঠা।
গ হবে এক পৃষ্ঠা+অপর পৃষ্ঠার ওয়ান ফোর্থ। আর ঘ হবে ওই পৃষ্ঠা শেষ করা এবং বাকি আরেক পৃষ্ঠা।
উত্তর লাইন হিসেব করে লিখার কোনোই দরকার নেই।
এমন কোনো টিচার নেই যার কিনা টাইম আছে তুমি কত লাইন লিখলা তা গুনে দেখার।
তাই বলবো লাইন হিসেব করে লিখার কোনোই দরকার নেই।
বহুনির্বাচনি অংশ-